অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, মঙ্গলবাড়ীর ভীমের পান্টি প্রাচীন বাংলার আরেক রাজধানীর অসিত্মত্ব ঘোষনা করছে। কথিত এই পান্টি মুলত একটি স্মৃতি সত্মম্ভ। এই সত্মম্ভের প্রতিষ্ঠাতা ভট্রগুরব মিশ্র সত্মম্ভলিপিতে উলেস্নখ করেছেন যে, এটি মন্ত্রীভবনের একাংশ। আর মন্ত্রীভবন রাজধানীর বাইরে থাকার কথা নয়। সম্ভবতঃ এর সন্নিকটেই রাজধানী অবসি'ত ছিল। দেবপালের প্রধানমন্ত্রী দর্ভপানি সহ অপর একজন প্রধানমন্ত্রী রাজকার্যে নিয়োজিত ছিলেন। সেহেতু একাধিক রাজধানীর অসিত্মত্ব থাকা অস্বাভাবিক নয়।ভট্রগুরব মিশ্র সুকবি এবং নারায়ন পালের (৯ম শতক) মন্ত্রী ছিলেন। তিনি দর্ভপানী মিশ্র সহ এই পরিবারের সকল মন্ত্রী, কবি, সাহিত্যিক, বিদ্যান ও বিদুষী গণের গুন কীর্ত্তণ করেছেন সত্মম্ভলিপিতে। তিনি শিবের উপাসক ছিলেন। তাই উপাস্য দেবতার বাহন গড়-র-পাখী সত্মম্ভের শীর্ষে স'াপন করে শিবের উদ্দেশ্যে উৎস্বর্গ করেছিলেন। পাল রাজত্বের অবসানের পর ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর রেশম ও নীলচাষ কার্যে নিয়োজিত বাদাল কুঠির অধ্যড়্গ গভীর জঙ্গলে সত্মম্ভটি নতুনভাবে আবিস্কার করেন। তখন বজ্রঘাতে গড়-র পাখিটি বিদীর্ণ হয়ে কিছুটা হেলানো অবস'ায় সত্মম্ভটি দেখতে পাওয়া যায়। ইতিহাস বিশ্রম্নত স'ানীয় ধর্মাশ্রয়ী লোকজন তখন একটি কিংবদনত্মীর অবতারনা করে। পৌরানিক কাহিনী অবলম্বনে মানুষের ধারণা জন্মে যে, দেবদূত ভীম মর্ত্যলোকের ভূমি কর্ষনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। গভীর রজনীতে চাষ কার্য শেষে মঙ্গলবাড়ী এসে ভোর হয়। তিনি দ্রম্নত লোক চক্ষুর অনত্মরালে স্বর্গে গমনকালে তাঁর হাতে থাকা পান্টিটি আপন ভারে মাতিতে পুঁতে যায়।অবশ্য ভীম নামের সাথে একটি ঐতিহাসিক যোগসুত্র রয়েছে। একাদশ শতকে পাল রাজত্বের অধঃপতনের যুগে দ্বিতীয় মহীপালের দুঃশাসনের বিরম্নদ্ধে এক গণ বিড়্গোভের সৃষ্টি হয়। এর নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন স'ানীয় কৈবর্ত নায়ক দিব্যোক। তিনি দিবর দিঘীতে প্রতিষ্ঠিত দিব্যোক স্মৃতি সত্মম্ভের (দিবরদীঘি) নিকটবর্তী স'ানে মহীপালের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে বাংলায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দিব্যোকের ভ্রাতুস্পুত্র ভীম জনপ্রিয় শাসক ছিলেন। তাঁরই স্মৃতি দেবদূত ভীমের অলৌকিক শক্তিকে হয়তো আচ্ছন্ন করেছে। প্রাচীন কাল থেকেই এই অঞ্চলের মানুষ হিন্দু ধর্মানুরাগী ছিলেন। এখানে হরগৌরির যুগল স্বর্ণমূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এবং খিষ্ট্র পূর্ব দ্বিতীয় শতকের শিবলিঙ্গের অনুরূপ একটি বিগ্রহের আরধনা করত এখানকার মানুষ। সভ্যতার আলো থেকে বঞ্চিত কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ এই ধর্মীয় অনুভূতির কেন্দ্রে এক সময় আবিস্কার করে মঙ্গলজলের। এখানকার একটি জলাশয় থেকে সকল প্রকার রোগ শোকের মুক্তি লাভের আশায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষ মঙ্গলবার দিন ভীড় জমাতো। সেখান থেকেই মঙ্গল বারির মহিমায় মঙ্গলবাড়ী হাটে রূপানত্মরিত হয়েছে।
মঙ্গলবাড়ির প্রাচীন মন্দির এবং গরুড় স্তম্ভ
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, মঙ্গলবাড়ীর ভীমের পান্টি প্রাচীন বাংলার আরেক রাজধানীর অসিত্মত্ব ঘোষনা করছে। কথিত এই পান্টি মুলত একটি স্মৃতি সত্মম্ভ। এই সত্মম্ভের প্রতিষ্ঠাতা ভট্রগুরব মিশ্র সত্মম্ভলিপিতে উলেস্নখ করেছেন যে, এটি মন্ত্রীভবনের একাংশ। আর মন্ত্রীভবন রাজধানীর বাইরে থাকার কথা নয়। সম্ভবতঃ এর সন্নিকটেই রাজধানী অবসি'ত ছিল। দেবপালের প্রধানমন্ত্রী দর্ভপানি সহ অপর একজন প্রধানমন্ত্রী রাজকার্যে নিয়োজিত ছিলেন। সেহেতু একাধিক রাজধানীর অসিত্মত্ব থাকা অস্বাভাবিক নয়।ভট্রগুরব মিশ্র সুকবি এবং নারায়ন পালের (৯ম শতক) মন্ত্রী ছিলেন। তিনি দর্ভপানী মিশ্র সহ এই পরিবারের সকল মন্ত্রী, কবি, সাহিত্যিক, বিদ্যান ও বিদুষী গণের গুন কীর্ত্তণ করেছেন সত্মম্ভলিপিতে। তিনি শিবের উপাসক ছিলেন। তাই উপাস্য দেবতার বাহন গড়-র-পাখী সত্মম্ভের শীর্ষে স'াপন করে শিবের উদ্দেশ্যে উৎস্বর্গ করেছিলেন। পাল রাজত্বের অবসানের পর ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর রেশম ও নীলচাষ কার্যে নিয়োজিত বাদাল কুঠির অধ্যড়্গ গভীর জঙ্গলে সত্মম্ভটি নতুনভাবে আবিস্কার করেন। তখন বজ্রঘাতে গড়-র পাখিটি বিদীর্ণ হয়ে কিছুটা হেলানো অবস'ায় সত্মম্ভটি দেখতে পাওয়া যায়। ইতিহাস বিশ্রম্নত স'ানীয় ধর্মাশ্রয়ী লোকজন তখন একটি কিংবদনত্মীর অবতারনা করে। পৌরানিক কাহিনী অবলম্বনে মানুষের ধারণা জন্মে যে, দেবদূত ভীম মর্ত্যলোকের ভূমি কর্ষনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। গভীর রজনীতে চাষ কার্য শেষে মঙ্গলবাড়ী এসে ভোর হয়। তিনি দ্রম্নত লোক চক্ষুর অনত্মরালে স্বর্গে গমনকালে তাঁর হাতে থাকা পান্টিটি আপন ভারে মাতিতে পুঁতে যায়।অবশ্য ভীম নামের সাথে একটি ঐতিহাসিক যোগসুত্র রয়েছে। একাদশ শতকে পাল রাজত্বের অধঃপতনের যুগে দ্বিতীয় মহীপালের দুঃশাসনের বিরম্নদ্ধে এক গণ বিড়্গোভের সৃষ্টি হয়। এর নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন স'ানীয় কৈবর্ত নায়ক দিব্যোক। তিনি দিবর দিঘীতে প্রতিষ্ঠিত দিব্যোক স্মৃতি সত্মম্ভের (দিবরদীঘি) নিকটবর্তী স'ানে মহীপালের বিরম্নদ্ধে যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে বাংলায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দিব্যোকের ভ্রাতুস্পুত্র ভীম জনপ্রিয় শাসক ছিলেন। তাঁরই স্মৃতি দেবদূত ভীমের অলৌকিক শক্তিকে হয়তো আচ্ছন্ন করেছে। প্রাচীন কাল থেকেই এই অঞ্চলের মানুষ হিন্দু ধর্মানুরাগী ছিলেন। এখানে হরগৌরির যুগল স্বর্ণমূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এবং খিষ্ট্র পূর্ব দ্বিতীয় শতকের শিবলিঙ্গের অনুরূপ একটি বিগ্রহের আরধনা করত এখানকার মানুষ। সভ্যতার আলো থেকে বঞ্চিত কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ এই ধর্মীয় অনুভূতির কেন্দ্রে এক সময় আবিস্কার করে মঙ্গলজলের। এখানকার একটি জলাশয় থেকে সকল প্রকার রোগ শোকের মুক্তি লাভের আশায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর মানুষ মঙ্গলবার দিন ভীড় জমাতো। সেখান থেকেই মঙ্গল বারির মহিমায় মঙ্গলবাড়ী হাটে রূপানত্মরিত হয়েছে।
Post a Comment
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.